ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার শতাধিক সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আ.লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষনা 

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষেদিনে গতকাল বুধবার ২৮ নভেম্বর আওয়ামীলীগ, জাতীয় পাটি (এরশাদ) ও ওয়ার্কাস পাটি ছাড়াও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একজন নারী রয়েছেন। গতকাল মোট পাঁচজন প্রার্থী চকরিয়ায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

আগেরদিন মঙ্গলবার কক্সবাজারে রির্টানিং কমকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ। অপরদিকে গতকাল কক্সবাজারে রির্টানিং কমকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) প্রার্থী ফয়সাল চৌধুরী।

গতকাল চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত (মহাজোট) প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য পদত্যাগকারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম, জাতীয় পাটি (এরশাদ) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান এমপি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পাটির কেন্দ্রীয় নেতা হাজী আবু মো.বশিরুল আলম। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা বদিউল আলম ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাফর আলমের মেয়ে তানিয়া আফরিন জাফর।

এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সদ্য সাবেক চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম গতকাল দুপুরে চকরিয়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (মগবাজার কমিউনিটি সেন্টার মাঠে) খতমে কোরান ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে মসজিদ-মাদরাসার দুইশত আলেম-ওলামা বিশেষ মোনাজাতে অংশনেন। শোকরানা সভা শেষে বিশেষ মোনাজাত করেন চকরিয়া সর্ব শ্রদ্বেয় মৌলানা মনজুর আলম ও সাহারবিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রুহুল কুদ্দুছ আনোয়ারী।

এছাড়াও মিলাদ মাহফিলে বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার (চকরিয়া-পেকুয়া) অন্তত শতাধিক বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধি (পৌরসভার চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার) অংশনেন। উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা ঘোষনা দেন, চকরিয়া-পেকুয়ার উন্নয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আলহাজ জাফর আলমের বিকল্প নেই। সেই কারনে আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি, একাদশ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়ার উন্নয়নের প্রয়োজনে জাফর আলমের পক্ষে কাজ করবো। পাশাপাশি চকরিয়া-পেকুয়ার সর্বস্তরের জনতা, পেশাজীবি, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, আওয়ামী লীগের নেতার্কর্মী, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিরর, স্কুলের শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, ক্রীড়াবিদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমকে অভিবাদন জানান। এসময় তারা জাফর আলমের পক্ষে মাঠে নামার ঘোষণা দেন।

মিলাদ মাহফিল শেষে গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায় চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আলহাজ জাফর আলম দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওইসময় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো.নুরুল আবছার, চকরিয়া পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চিরিঙ্গার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কেএম ছালাহউদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদ উল্লাহ চৌধুরী, মাতামুহুরী আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, সিনিয়র সহ-সভাপতি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিলের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, সহ-সভাপতি মকছুদুল হক ছুট্টো, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা পারভিন, টৈইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, এম আর চৌধুরী, আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম সম্পাদক সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ জসীম উদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য ও বমুুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক সোলতান আহমদ, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ আবু তৈয়ব, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢেমুশিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান রোস্তম আলী, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ বদিউল আলম, বদরখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন কান্তি দাশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক, চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইযুব, কাউন্সিলর মকসুদুল হক মধু, রেজাউল করিম, জিয়াবুল হক, জামাল উদ্দিন, মুজিবুল হক মুজিব, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান চেয়ারম্যান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল করিম, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, চকরিয়া পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মামুন, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলী, সাবেক সভাপতি শেফায়েতুল কবির চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সম্পাদক সাজিদ হোসেন শাকিব, সাদ্দাম হোসেন মিঠু, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা পারভেজ ও ছাত্রনেতা আবদুল বারেক টিপু প্রমুখ। ##

পাঠকের মতামত: